ঢাকা, রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৩:৫১
বাংলা বাংলা English English

ভারি বর্ষণে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


ফাইল ছবি

কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেটের অধিকাংশ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (২ জুলাই) সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও ধলাইসহ বিভিন্ন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১১.৭৭ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬৫ মিটারে। একই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯.৯৪ মিটার। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৬ মিটারে।

গত ২৪ ঘন্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারার পানি শেওলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ১০.৮১ মিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে ৯.১৫ মিটার, শেরপুরে ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ৭.৮০ মিটার। তবে লোভাছড়া ও সারি নদীর পানি কিছুটা কমেছে। আর ধলাই নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে আগামী কয়েকদিন সিলেট অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন। তিনি জানান ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এলাকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেছেন টানা বৃষ্টিপাত হলে এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম ইসলামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ রণিখাই, তেলিখাল এবং ইছাকলস ইউনিয়নের নিচু এলাকার একাধিক রাস্তাঘাট প্লাবিত হতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে চলাফেরা করছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

অপরদিকে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও, খাদিমনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরসহ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, সিলেটের কোথাও এখনো বন্যা হয়নি। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্যা হলে উদ্ধার কাজ চালাতে বড় নৌকা কেনা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।

 

সব খবর